পূর্ব বাংলায় মানব জীবনের অস্বিত্বের ইতিহাস বেশ পুরোনো । এখানে এসে মিশে গেছে বিভিন্ন জাতি, ধর্ম, বর্ণ, পেশা এবং দৈহিক ও মানসিক বৈচিত্রের মানুষ । যারা এই অঞ্চলের মানুষের জীবনধারণ ও সংস্কৃতিকে প্রভাবিত করার পাশাপাশি মৌলিক কাঠামোতে অবদান রেখেছে। তবে এই সমাজের মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন ও শোষণ-নিপীড়নের বিপরীতে আজীবন কাজ করে যাওয়া মানবিক মানুষের সংখ্যা নেহায়েত কম না হলেও তাঁদের চর্চা নেহায়েত সামান্য। যাঁদের মাঝে নারীদের সংখ্যা আরো হাতে গুণা কয়েকজন হলেও তাঁরা এদেশের নারী সমাজের সার্বিক উন্নতিও সামাজিক মুক্তির ব্যাপারে অসামান্য অবদান রেখে গেছেন। তবে, আজ আমরা কম বেশি পশ্চাত্যের মনীষীদের চর্চা করলেও আমাদের নিজেদের আপন মনীষীদের চর্চা করতে যেন ভুলেই বসেছি ! তেমনি একজন পর্দার আড়ালের পরে যাওয়া মহিয়সী নবাব ফয়জুন্নেছা চৌধুরাণী।
জন্ম
বাংলার প্রথম এবং একমাত্র
নারী ‘নবাব’ ফয়জুন্নেসা চৌধুরানীর জন্ম ১৮৩৪ সালে কুমিল্লা জেলার হোমনাবাদ পরগনার (বর্তমানে
লাকসামের) অন্তর্গত পশ্চিমগাঁও গ্রামের এক জমিদার বংশে । তাঁর বাবার নাম আহমদ আলী চৌধুরী এবং মায়ের নাম আফরান্নেছা চৌধুরাণী। তাঁর পিতা ছিলেন ঐ অঞ্চলের জমিদার।
শৈশব ও শিক্ষালাভ
তৎকালীন
বাংলার সম্রান্ত জমিদার পরিবারে বেড়ে উঠা, ফয়জুন্নেসার
শৈশব কেঁটেছে অন্য স্বাভাবিক দশটি বাচ্চা থেকে অনেকটা ভিন্নভাবে। পারিবারিক
ও ধর্মীয় অনুশাসনের মধ্যে থেকে গৃহশিক্ষক উস্তাদ তাজউদ্দিন সাহেবের তত্ত্বাবধানে বিভিন্ন
বিষয়ে দীক্ষা গ্রহণ করেন। তিনি বাংলা, আরবি, ফারসি, উর্দু ও
সংস্কৃত ভাষায় বিশেষ দক্ষতা অর্জন করেন। এছাড়াও তিনি জমিদারি পরিচালনার প্রশিক্ষন
গ্রহণ করেন।
দাম্পত্যজীবন
১৮৬০
সালে ২৬ বছর বয়সে তিনি পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের জমিদার মুহম্মদ গাজীর সঙ্গে বিবাহবন্ধনে
আবদ্ধ হন। তবে তিনি ছিলেন মুহম্মদ গাজীর দ্বিতীয় স্ত্রী এবং এই সম্পর্ক মধুর না হওয়ায়
স্বল্প সময়ে তাঁদের দাম্পত্য জীবনের ইতি ঘটে।
জমিদারি লাভ
১৮৮৩ সালে তাঁর পিতা
ইন্তেকাল করলে তিনি পশ্চিমগাঁও-এর জমিদারি লাভ করেন। এর দুবছর
পর ১৮৮৫ সালে মা-ও ইন্তেকাল
করলে তিনি মাতুল সম্পত্তিরও উত্তরাধিকারী হন। যার ফলে তিনি সামাজিক প্রভাব প্রতিপত্তির
আসনে আবির্ভূত হন। তিনি তাঁর দূরদর্শী চিন্তাধারা ও আধুনিক মননের সাহায্যে সেসময়কার
সমাজের সকল বাঁধা বিপত্তিকে পাশকাঁটিয়ে নিজগুণে জমিদারি পরিচালনা করতে সমর্থ্য হয়েছেন।
সামাজিক ও রাজনৈতিক অবস্থা
তিনি যে সময় ক্ষমতায় আসেন
তখন বাংলা ও সমগ্র ভারতেই সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিবেশের পরিবর্তনশীল অবস্থা বিরাজমান। সিপাহী
বিদ্রোহের পর একদিক থেকে ব্রিটিশ শাসনের মোড় পরিবর্তন অন্যদিক থেকে বাংলার পূনর্জাগরণের
এক উত্তরণ কাল অতিবাহিত হচ্ছে। একই সাথে
ইংরেজি শিক্ষার প্রভাবে সমাজে এক নতুন ভাবধারার পাশাপাশি দীর্ঘকাল যাবৎ প্রচলিত সামাজিক
বিভিন্ন রীতিনীতি ও কুসংস্কারের বিপরীতে সাংঘর্ষিক পরিস্থিতি বিদ্যমান। এছাড়াও আছে জোড়পূর্বক খ্রিষ্টধর্মে ধর্মান্তরিত
করার অপচেষ্টা ও শিল্প বিপ্লবের অর্থিক ও সামাজিক প্রভাব।
তবে এ অঞ্চলের বাস্তবতা ছিল
আরো ভিন্ন। বিশেষ
করে সেসময় ইংরেজ শাসনে ও ইংরেজি শিক্ষার প্রসারে মুসলমান জনগোষ্ঠীর হাত থেকে ক্ষমতা চলে যাওয়ায় তারা নিজেদের অস্তিত্ব
সংকটের ক্রান্তিকাল আতিবাহিত করছে, তখন ইংরেজি শিক্ষার বিপরীতে দৃঢ় পদক্ষেপ গ্রহন করে । তখন এই
অঞ্চলের স্বাক্ষরতার হার ছিল প্রায় ২-৫% এর কোঠায়। তীক্ষ ও দূরদর্শী চিন্তার অধিকারী
নবাব তখনই অবলোকন করতে পেরেছিলেন যে, সার্বিক
পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জীবনমানের উন্নয়ন করতে গেলে শিক্ষাক্ষেত্রে তাদের অবস্থার পরিবর্তনের
কোনো বিকল্প নেই।
জনহিতকর কার্যাবলী
জমিদারি লাভ করার পরেই সমাজ উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড হিসেবে শিক্ষাক্ষেত্রকে অগ্রাধিকারে রাখেন। শিক্ষা ও সমাজ সচেতেন জমিদার ফয়জুন্নেসা চৌধুরাণী এ অঞ্চলকে এগিয়ে নেয়ার দৃঢ় প্রত্যয়ে ইংরেজি বা ব্রিটিশ শিক্ষা ব্যবস্থার আদলে কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করেন। নতুন শিক্ষাব্যবস্থায় তিনি পুরুষদের জন্য কয়েকটি বিদ্যালয় স্থাপনের পাশাপাশি ১৮৭৩ সালে তিনি নারীদের জন্যও একটি বিশেষায়িত বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। যার নামকরণ করা হয় নাম ‘ফয়েজুন্নেসা উচ্চ ইংরেজি বালিকা বিদ্যালয়’। যা শুধু এ অঞ্চলের বাঙালি মুসলমানদের নয় উপমহাদেশের মুসলমানদের জন্য সর্ব প্রথম উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়। তিনি কেবল বিদ্যালয় স্থাপন করেননি। পিছিয়ে পড়া মুসলমানদের অগ্রগতির নিমিত্তেও কাজ করে গেছেন। যখন ইংরেজি শিক্ষাকে ফিরিঙ্গিদের ভাষা বলা হতো কিংবা নিরূৎসাহী করা হতো কখন তিনি ইংরেজি শিক্ষার বিস্তারে জমিদারের তহবিল থেকে বৃত্তির ব্যবস্থা করেন। তাছাড়া তিনি ইংরেজি শিক্ষার পাশাপাশি ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষা বিস্তারে বিভিন্ন মসজিদ, মাদ্রাসা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান স্থাপন করেন।
চিত্র : নওয়াব বাড়ীর সদর দরজার দশ গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদ । সূত্র : ইন্টারনেট
শিক্ষাক্ষেত্রে অবদানের পাশাপাশি
তিনি বিভিন্ন সামাজিক প্রতিষ্ঠান ও অবকাঠামোগত উন্নতি সাধিত করেন। তিনি ১৮৯৩
খ্রিষ্টাব্দে নারীদের জন্য ‘ফয়েজুন্নেসা জানানা’ হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করেন। যা বর্তমান
সময়ে ‘কুমিল্লা সদর হাসপাতালের নবাব ফয়জুন্নেসা ফিমেল ওয়ার্ড’ নামে পরিচিত। একইসাথে তিনি নিজ বাড়ির পাশে একটি মুসাফির খানা
স্থাপন করেন। যেখানে
মুসাফিরদের জন্য তিনদিন তিনরাত্রি বিনা পয়সায় থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়, যা আজও বিদ্যমান রয়েছে। এছাড়াও
তিনি সাধারণ জনগণের সুবিধার জন্য রাস্তাঘাট, দীঘি, পুল ইত্যাদি নির্মাণ করেন। নবাব বাড়ির সংলগ্ন
ডাকাতিয়া নদীর উপর ‘সাবানী বা সাহেবানীর পুল’ নামে যে লোহার পুলটা আজও বিদ্যমান তা
এই মহীয়সী নারীর সার্বিক তত্তাবধায়নে নির্মিত।
নবাব ফয়জুন্নেছা কেবল নিজ
অঞ্চলেই কিংবা নিজ দেশের উন্নয়নে কাজ করে গেছেন তা নয়। তিনি নিজ
অঞ্চলের বাইরেও মানবতার সেবায় অকাতরে দান করে গেছেন। ১৮৯৪ সালে
তিনি পবিত্র হজ্ব পালন করার উদ্দেশ্যে পবিত্র নগরী মক্কায় যান। সেখানে
হাজীদের কষ্ট লাগবের উদ্দেশ্যে একটি 'মুসাফিরখানাও প্রতিষ্ঠা করেন । ব্রিটিশ
শাসিত ভারতবর্ষে তিনি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অনুদান প্রদান করেছেন। মৃত্যর
আগে তিনি তাঁর সকল সম্পত্তি ওয়াকফ করে গেছেন।
ব্যাক্তিগত জীবনে তিনি সুষ্ঠভাবে
ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলার চেষ্টা করেছেন। ইসলাম ধর্মের পর্দার বিধান তিনি লঙ্গণ করেছেন বলে
তেমন কোনো প্রমাণ পাওয়া অত্যন্ত দুষ্কর। তিনি নিজের ধর্মের প্রশান্তির বাণী নিজের মাঝে ধারণ
করার পাশাপাশি ধর্মের মহানোভবতার পরিচয় ব্যক্ত করে গেছেন।
সম্মাননা
বৈচিত্রময় বর্ণাঢ়্য সংগামী
জীবনে তিনি কয়েকটি পদবী ও সম্মাননা লাভের মাধ্যমে নিজকে স্বতন্ত্ররূপে পরিচিত করেছেন। বাংলাপিডিয়ার
মতে, " ফয়জুন্নেসার … জনহিতৈষণার পুরস্কারস্বরূপ মহারানী
ভিক্টোরিয়া ১৮৮৯ সালে তাঁকে 'নবাব' উপাধিতে ভূষিত করেন। তিনিই বাংলার প্রথম মহিলা যিনি এই উপাধি লাভ করেন।" ফয়জুন্নেসার এই সম্মাননার জন্য তৎকালীন সময়ে ৩৫০০
হাজার টাবা খরচ করা হয়েছে বলে জানা যায়। এছাড়াও, নবাব খেতাব পাওয়ার আগে তাঁকে ব্রিটিশ সরকার বেগম উপাধি দিতে চাইলে তিনি
তা প্রত্যাখ্যান করেন।
১৯৯৩ বাংলা একাডেমি ‘নবাব ফয়জুন্নেসা ও পূর্ববঙ্গের
মুসলিম সমাজ’ নামে একটি গ্রন্থ প্রকাশ করে। যেখানে তাঁর জীবনের বিভিন্ন দিক
উঠে এসেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পিএইচডি ডিগ্রির ছাত্রীদের আবাসিক
সুবিধার জন্য নবাব ফয়জুন্নেসা চৌধুরানীর নামে ‘নবাব ফয়জুন্নেসা
চৌধুরানী ছাত্রীনিবাস’ এর যাত্রা শুরু করে ১৯৯৪ সালে। এছাড়াও দেশের দুটি স্বনামধন্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যাল জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ও কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে
তাঁর নামে একটি করে ছাত্রী হল আছে। ২০০৪ সালে তাঁর মৃত্যুর একশ বছর পর বাংলাদেশ সরকার তাঁকে সমাজ
সেবার ক্ষেত্রে স্বীকৃতি স্বরূপ মরণোত্তর একুশে পদকে ভূষিত করেন।
সাহিত্যচর্চা
সাহিত্য ও সাংবাদিকতায়ও তাঁর
পদচারণা ছিল অবিষ্মরণীয়। তাঁকে আধুনিক বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে প্রথম মুসলিম সাহিত্যিক
হিসেবে স্মরণ করা হয়। ১৮৭৬ খ্রিষ্টাব্দের ১০ ফেব্রুয়ারি ঢাকার গিরিশচন্দ্র মুদ্রণ যন্ত্র থেকে
শ্রীমতি নবাব ফয়জুন্নেসা চৌধুরাণী রচিত সাহিত্য গ্রন্থ ‘রূপজালাল' প্রকাশিত হয়। যা
ছিল মুসলিম নারী রচিত প্রথম পূর্ণাঙ্গ সাহিত্যকর্ম। এটি গদ্য ও পদ্য ছন্দে রচিত। যেখানে
কিছু অংশে লেখকের জীবনে স্মৃতির উল্লেখ আছে । এছাড়াও
তাঁর আরো দুটি গ্রন্থের নাম পাওয়া যায়-‘সঙ্গীত লহরী’ ও ‘সঙ্গীত
সার’ প্রকাশিত হলেও তা এখন দুষ্প্রাপ্য রয়ে গেছে। তিনি তৎকালীন
বাংলা সাহিত্য চর্চার কেন্দ্রভূমি কলকাতার সাহিত্য সমাজের সাথেও বিভিন্নভাগে যোগাযোগ
বজায় রেখেছেন। তিনি
কলকাতার ঠাকুরবাড়ির 'সখী সমিতি'র সদস্যও ছিলেন।
তিনি কলকাতা থেকে প্রকাশিত
ঐতিহাসিক ‘সুধাকর’ পত্রিকার অন্যতম পৃষ্ঠপোষক ছিলেন। যা প্রগতিশীল তৎকালীন মুসলমান
সমাজের মুখপাত্র হয়ে কাজ করেছে।
প্রয়াণ
১৯০৩ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর (১০ আশ্বিন, ১৩১৪
বঙ্গাব্দ) এ মহীয়সী নারীর জীবনাবসান ঘটে। তাঁকে স্বানর্মিত দশগুম্বুজ মসজিদের পাশে
পারিবারিক কবরস্থানে নিজ
কন্যা আরশাদুন্নেসার পাশে শায়িত
করা হয়।
দায়িত্ব
নবাব ফয়জুন্নেসা চৌধুরানী
এমন একজন সমাজহিতৈষী, প্রজাদরদি,
আধুনিক মানসিকার দৃঢ় ও কুসংস্কার বিরোধী সফল জমিদার ছিলন,
যিনি প্রত্যেক শাসকের জন্য বিভিন্ন ভাবে
উদাহারণ হয়ে থাকবেন। তাঁর ইন্তেকালের এত বছর পার হয়ে যাওয়া সত্ত্বেও
আমরা যেভাবে তাঁর কাছে ঋণী কিংবা তাঁর উদ্দ্যোগে যে হারে উপকৃত সে হারে তুলনায় আমরা
তাঁর চর্চা করছি অতি নগন্য। তিনি যে আমাদের জাতির কত বড় একটা সম্পদ ও গর্বের
বিষয় তা আজ আমরা জনিনা। পাঠ্যপুস্তকসহ বিভিন্ন গনমাধ্যম ও প্রচারমূলক ব্যবস্থায় তাঁর
কথা উল্লেখ্য হয় একথা বললে ভুর হবে। প্রত্যেক জতির ভাগ্যেই কয়েকজন এমন মহান ব্যাক্তিত্বের
সন্ধান পাওয়া যায় । যারা
নিজের জাতির উন্নতি ও সমৃদ্ধির জন্য কাজ করে অমরত্ব লাভ করেন এবং পরবর্তীকালে ভবিষ্যত
প্রজন্মের জন্য উদাহারণ হয়ে থাকে এবং তাদের জন্য দেশপ্রেম
ও জীবনবোধের অনুপ্রেরণা যোগায়।
তবে, আমাদের জাতি কি ঋণ পরিশোধে এতই কৃপণ
যে, তাঁদের মতো মহীয়সীদের কথা নতুন প্রজন্মের
জানা শোনা এত অপ্রতুল? নিজেদের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সাহিত্য, দর্শন ও সংস্কৃতি নিয়ে আমাদের জ্ঞান ও
সচেতেনতা বৃদ্ধি সরকার ও সচেতন মহলকে এগিয়ে আসতে হবে। তাঁদের
নিয়ে গবেষণা, সেমিনার, চলচ্চিত্র, প্রবন্ধ, ফিচার
ও প্রচার মূলক কাজ করার মাধ্যমে যেমন তাঁদেরকে আমাদের নতুন প্রজন্মের কাছে উপস্থাপন
করা যাবে ঠিক তেমনই তা প্রজন্মের হৃদয়ে সংরক্ষণের স্থান পাবে। তাঁদের
নিয়ে অনেক কাজ করার আছে। বুদ্ধিভিত্তিক চর্চাই পারে একটি জাতির ভীত গড়ে দিতে।